পারভেজ হত্যা: নারী শিক্ষার্থীদের & খুনি'দের পরিচয়

 পারভেজ হত্যা: নারী শিক্ষার্থীদের ভয়ংকর ছলচাতুরির নির্মম পরিণতি

পারভেজ হত্যা

সম্প্রতি বনানীর ইউনিভার্সিটি অফ স্কলারস-এ ঘটে যাওয়া পারভেজ হত্যাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।

তদন্তে জানা গেছে, এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত দুই নারী শিক্ষার্থী

ফাতেমা তাহসিন ঐশী (বিবিএ) এবং ফারিয়া হক টিনা (ইংরেজি বিভাগ) — যারা ঘটনার পর থেকেই ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত এবং তাদের ফোন বন্ধ রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে এবং তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।

পারভেজ হত্যার পেছনের ঘটনা আরও ভয়ঙ্কর।

মাত্র সামান্য হাসি বা ভুল বোঝাবুঝির জেরে, পরিকল্পিতভাবে ফোন করে ডেকে আনা হয় কয়েকজনকে।

অবশেষে, হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্তসহ ৩ জন অমানুষকে আটক করা হয়েছে।

তবে ছুরি চালানো আসামি সেই ৩ জনের মধ্যেই কিনা তা নিয়ে কিছুটা বিভ্রান্তি রয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, মাঝখানে থাকা সেই ব্যক্তি-ই খুনি!

ভয়ংকর সত্য হলো

এই দুই নারী শিক্ষার্থী প্রেমের সম্পর্কের ছলনায় ব্যবহার করে তাদের প্রমিকদের পারভেজের জীবন কেড়ে নিয়েছে।

একটি ছোট্ট সন্দেহ বা অহংকারের কারণে, এক নিরপরাধ তরুণকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে!

এটা কিভাবে সম্ভব

তাদের আচরণ দেখে মনে হয়, তারা নিজেদের গ্যাংস্টার বা বড় মাপের কেউ মনে করত।

তাদের উদ্দেশ্য ছিলো খ্যাতির জন্য, নিজের মিথ্যা অহংকার রক্ষার জন্য একজন নিরপরাধ প্রাণ নষ্ট করা!

একজন ছাত্রদলকর্মী পারভেজ, যিনি কোনো অপরাধ করেননি — তাকে জোর করে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়।

কিন্তু তাতেও তাদের ঘৃণার আগুন নেভেনি, তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

আমরা নারীদের সর্বদা সম্মান করি।

কিন্তু যারা নারী পরিচয়ের অপব্যবহার করে অন্যায় করে, তাদের কখনোই মানবো না।

এই দুই 'রাক্ষুসী' নারী শিক্ষার্থীর ভূমিকা পুরো হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে স্পষ্ট হয়ে গেছে।

এখনো তাদের গ্রেফতার করা হয়নি — এটা আমাদের বিচার ব্যবস্থার জন্য লজ্জার বিষয়।

আমরা দাবি করি:

পারভেজ হত্যাকাণ্ডের মূল মাস্টারমাইন্ড এই দুই নারীকে দ্রুত গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনা হোক।

নিরপরাধের রক্ত যেন এই সমাজে হারিয়ে না যায়!

ন্যায়বিচার চাই — এখনই চাই!

লেখা: [মতিউর রহমান লিটন]

সূত্র: বাস্তব ঘটনা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিশ্লেষণ