কম বয়সে বিবাহ: উপকারিতা & অপকারিতা: | ইসলামীক জরুরি আলোচনা ও শিক্ষা

 কম বয়সে বিয়ে নিয়ে হাদিস

কম বয়সে বিয়ে

ইসলামে বিয়ে শুধুই সামাজিক চুক্তি নয়; এটি এক মহান সুন্নাহ ও আত্মশুদ্ধির উপায়। নবী করিম (সা.) বলেন,

"হে যুবসমাজ! তোমাদের মধ্যে যারা বিয়ে করার সামর্থ্য রাখে, তারা যেন বিয়ে করে। কেননা, এটি দৃষ্টিকে অবনত রাখে এবং লজ্জাস্থান হেফাজত করে।"

(সহীহ বুখারি: ৫০৬৬, সহীহ মুসলিম: ১৪০০)

এ হাদিস থেকে বোঝা যায়, নবীজি (সা.) নিজেই যুবকদেরকে যৌবনে বিয়ে করার জন্য উৎসাহ দিয়েছেন, কারণ এটি ঈমান রক্ষার উপায়।

---

কম বয়সে বিয়ে করার উপায়

কম বয়সে বিয়ে করতে চাইলে ইসলামিকভাবে কিছু প্রস্তুতি আবশ্যক:

দ্বীনদারতা অর্জন করা: নিজে আল্লাহভীরু হওয়া এবং এমন সঙ্গী বেছে নেওয়া যে দ্বীনের উপর চলতে চায়।

অভিভাবকের পরামর্শ নেওয়া: পরিবার ও অভিভাবকের সম্মতিতে বিয়ের আয়োজন করা সুন্নাহসিদ্ধ ও বরকতময়।

বিয়ের উদ্দেশ্য বিশুদ্ধ রাখা: শুধুমাত্র প্রবৃত্তির খুশির জন্য নয়, বরং নেক সংসার গঠনের জন্য নিয়ত করা চাই।

ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, "যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে বিবাহ করে, আল্লাহ তার জন্য তা বরকতময় করে দেন।"

---

কম বয়সে বিয়ে করার উপকারিতা

ইসলামিক দৃষ্টিতে কম বয়সে বিয়ের বেশ কিছু উপকারিতা আছে:

বেহায়াপনা ও জিনার পথ বন্ধ হয়

মানসিক প্রশান্তি আসে, চরিত্র সংরক্ষিত থাকে

সংসার জীবন শেখার সময় বেশি পাওয়া যায়

ইবাদতে মনোযোগ বাড়ে, কারণ দুশ্চিন্তা কমে

আল্লাহ তাআলা বলেন,

“তাদের মধ্যে যারা অবিবাহিত, তাদের বিবাহ দাও... আল্লাহ তাদের স্বীয় অনুগ্রহে ধনী করে দিবেন।”

(সূরা আন-নূর: ৩২)

---

কম বয়সে বিয়ে

বয়স একমাত্র মাপকাঠি নয়, বরং ইচ্ছা, ইমান, চরিত্র ও দায়িত্ব নেওয়ার মানসিকতাই প্রকৃত যোগ্যতা। ইসলাম এমন একটি জীবনব্যবস্থা যা প্রকৃতিগত চাহিদাকে স্বীকৃতি দেয়। তাই যারা তরুণ অবস্থায় পরিপক্বতা ও দ্বীনদারতার আলোয় জীবন সাজাতে চায়, তাদের জন্য বিয়েই সঠিক পথ।

---

কম বয়সে বিয়ে করার অপকারিতা

যদি কেউ দ্বীন ও দায়িত্ব না বুঝেই বিয়ে করে ফেলে, তাহলে কিছু ঝুঁকি দেখা দিতে পারে:

সংসার পরিচালনায় অদক্ষতা

আত্মীয়তার প্রতি দায়িত্বহীনতা

বিবাহকে হালকা মনে করা

পরিণতির চিন্তা না থাকা

ইসলামে এমন কিছু না করার নির্দেশ আছে যা পরবর্তীতে অনুতাপের কারণ হয়।

আল্লাহ বলেন, “তোমরা নিজেরাই নিজেদের ধ্বংসে নিপতিত করো না।”

(সূরা বাকারা: ১৯৫)