নারীর কবিতা: প্রেমের কবিতা: কবিতা ক্যাপশন & ভালোবাসা 2025

নারী কবিতা

নারী কবিতা

সে জলে ভেজা ঘোমটা নয়,

সে চুপ করে থাকা নয়,

সে যেন আগুন—ধিকিধিকি জ্বলে,

আলোর পথ দেখায় শত আঁধার ছুঁয়ে।


সে শুধু কোমলতা নয়,

সে কঠোর পাহাড়ের মতও অটল,

ভাঙে সে বাঁধ, কাঁদে না ক্লান্তিতে,

তবুও বোনে ভালোবাসার তুলো-কথা।


বাড়ির কোণে শিশুর হাসিতে তার ছায়া,

সভায়-সমাবেশে তার জ্ঞান দীপ্ত আলো।

নারী একটাই পরিচয় নয়,

সে অসংখ্য রূপে নিজেকে গড়ে।


মাঝরাতে সন্তানের কান্নায় জেগে উঠে,

ভোরবেলায় অফিসের ফাইল হাতে নেয়।

জীবন তার জন্য নয় বোঝা—

বরং সে জীবনকে রঙে রাঙায় চুপিচুপি।

---

কবর কবিতা

শুধু কিছু মাটি নয়,

একটি কবর বহন করে শত কথা।

স্মৃতির নিঃশ্বাস জমে সেখানে,

হৃদয়ের নীরব কান্না পড়ে রোজ।


কেউ আসে ফুল হাতে, কেউ আসে চোখ ভিজিয়ে,

কেউ আসে না কোনোদিন—

তবু সেই কবর পড়ে থাকে নিঃসঙ্গ।


বৃক্ষ জন্মে কবরের পাশে,

পাখিরা ডাকে—মৃত্যু বুঝি শেষ নয়।

কোনো কবর বলে না বিদায়,

শুধু সময়ের ফ্রেমে রেখে যায় এক নীরব সুর।


যেখানে ঘুমায় না কেবল শরীর,

ঘুমায় সম্পর্ক, গল্প, অপূর্ণ ইচ্ছা,

আর এক ফোঁটা শেষ চাওয়া।

---

কবিতা ক্যাপশন (ছোট কিন্তু গভীর)

১. "শব্দেরা কখনো হারায় না,

তারা কাগজে চুপ করে বেঁচে থাকে।"


২. "যে অনুভব বোঝা যায় না,

সেটাই কবিতার জন্ম দেয়।"


৩. "কবিতা মানে শুধু লেখা নয়,

এটা প্রতিটি নিশ্বাসের কথাও হতে পারে।"


৪. "চোখে জল এলে বুঝি,

শব্দটা ঠিকঠাক ছিল।"


৫. "তুমি যা বলতে পারো না,

সেটাই কবিতা হয়ে উঠে তোমার ভেতরে।"

---

প্রেমের কবিতা

প্রেম কখনো শুধুই হাসি নয়,

এটা এক নীরব বোঝাপড়া—

যেখানে চোখে চোখ রেখে বলা হয় না কিছু,

তবুও হৃদয় একে অপরের গল্প পড়ে।


ভিড়ে হাত ধরা কিংবা চুপ করে হাঁটা,

ভোরের রোদে কফির কাপে ভাগ বসানো—

এটাই তো প্রেম, তাই না?

যখন তার ঠোঁট বলে না ভালোবাসি,

তবুও চোখ বলে—এটাই তোমার ঘর।

আর তোমার অভিমান মানেই

তাকে একটুখানি বেশি ভালোবাসা।


প্রেম মানে জয় নয়,

কখনো পরাজয়ের নরম চাদরও হয়,

তবুও একসাথে ঢেকে নেয় দুজনকে,

এক ফালি আকাশের নিচে।

---

বিদ্রোহী কবিতা

আমি কারো নিয়মে থাকি না,

কারো সংজ্ঞায় আটকে যাই না।

আমি যে আমি—

এক আকাশজোড়া ইচ্ছে, এক বাতাসজোড়া দ্রোহ।


তোমরা বলেছিলে, চুপ থাকো,

আমি গেয়েছি উচ্চ কণ্ঠে গান।

তোমরা বলেছিলে, নিচে তাকাও,

আমি আকাশে লিখেছি আমার নাম।


আমি সেই বাতাস,

যে সময়ের দেয়ালে প্রতিধ্বনি তোলে।

আমি সেই আগুন,

যে ঠাণ্ডা সমাজে লেলিহান স্পর্শ আনে।


আমার ভিতরে পাহাড় ভাঙার স্পর্ধা,

নিয়ম ভাঙার আনন্দ,

অসাম্যের বিরুদ্ধে কলম হাতে

আমি পথ হাটি।

---

কবিতা (সাধারণ)

কবিতা কোনো কালি নয়,

এটা হৃদয়ের ছায়া।

যেখানে নিঃশব্দে বাজে বেদনার বাঁশি,

আর আনন্দ নেমে আসে রংধনুর মতো।


কবিতা শুরুর আগে শব্দ থাকে না,

থাকে অনুভবের ঝলক,

একটা চোখের কোণে জমে থাকা

অব্যক্ত জলবিন্দু।


বৃষ্টি পড়ে—আমি ভাবি,

এই বৃষ্টিও কবিতা হতে পারে কি না!

তুমি হাসো—আর আমি দেখি,

তোমার হাসিতে কি ছন্দ খুঁজে পাই?


কবিতা তাই শুধু কাগজে লেখা নয়,

এটা জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে,

যেখানে আমরা দেখি, ভাবি,

আর নিঃশব্দে বলি—“এটাই তো কবিতা!”