কম বয়সে বিয়ে নিয়ে হাদিস
রাসুল (সা.) বলেছেন:
"যার সামর্থ্য আছে, সে যেন বিয়ে করে। কেননা বিয়ে চোখ ও চরিত্রকে হেফাজত করে।" (সহীহ বুখারী)
এই হাদিসে বোঝানো হয়েছে, যখন একজন যুবক বা যুবতী নিজের চাহিদা ও দায়িত্ব বোঝার মতো বড় হয়, তখন বিলম্ব না করে বিয়ের মাধ্যমে নিজেকে সঠিক পথে রাখা উত্তম। ইসলাম বাস্তব জীবনের প্রয়োজনগুলো গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে।
---
কম বয়সে বিয়ে করার উপকারিতা
ছোটবেলা থেকেই একসাথে চলার অভ্যাস হয়ে যায়। ভালোবাসা ও সহানুভূতি গড়ে উঠে সময়ের সাথে।
কম বয়সে দাম্পত্য জীবন শুরু করলে একে অপরকে বুঝে গড়ে তোলার সুযোগ বেশি থাকে।
বিয়ের পর একসাথে ক্যারিয়ার গঠন, স্বপ্ন পূরণ—সবকিছু করা যায় একে অপরের পাশে থেকে।
এমনকি পারিবারিক বন্ধনও সময়ের সাথে আরও দৃঢ় হয়।
---
কম বয়সে বিয়ে
অনেকে ভাবে কম বয়সে বিয়ে মানেই ভুল। কিন্তু যদি দুজনেই মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকে, তবে এটা হতে পারে জীবনের সেরা সিদ্ধান্ত।
অনেক সফল দম্পতির গল্পেই দেখা যায়, তারা তরুণ বয়সে একে অপরকে পেয়েছিলেন এবং একসাথে জীবনের চড়াই-উতরাই পেরিয়েছেন।
বিয়ে মানেই পরিণত সম্পর্ক—আর পরিণতি বয়স দিয়ে নয়, বুঝ দিয়ে হয়।
---
কম বয়সে বিয়ে করার উপায়
প্রথমে নিজের প্রস্তুতি দরকার—আত্মনির্ভরতা, দায়িত্ববোধ, সম্পর্কের প্রতি সম্মান।
পরিবারকে বোঝাতে হবে ধৈর্য নিয়ে। কারণ অভিভাবকরা চান সন্তান যেন ভুল সিদ্ধান্ত না নেয়।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা থাকলে, এবং পছন্দের মানুষটিকে সঠিকভাবে বোঝা গেলে, আলোচনা করে বিয়ের পথে এগিয়ে যাওয়া সহজ হয়।
আর বিয়ে মানেই শুধু আবেগ নয়—চিন্তা, মনের মিল, এবং জীবনের লক্ষ্য মিলিয়ে এগোতে হয়।
---
কম বয়সে বিয়ে করার অপকারিতা
যদি কেউ দায়িত্ব নিতে না জানে, তাহলে বিয়ে শুধু ঝামেলা তৈরি করে।
অনেক সময় দেখা যায়, ছোট বয়সে সিদ্ধান্ত নিলে পড়াশোনা, ক্যারিয়ার বা নিজেকে গড়ে তোলার সুযোগ নষ্ট হয়।
দুইজনই যদি পরিণত না হয়, তাহলে ছোট ছোট বিষয়ে বড় সমস্যা হতে পারে।
অর্থনৈতিক চাপ, পারিবারিক অশান্তি এসব কারণেও অনেকের সম্পর্ক ভেঙে যায়।