সৌদি প্রবাসীর বউ: সৌদি প্রবাসী নিউজ: সৌদি প্রবাসীদের জীবন ও গল্প

 সৌদি প্রবাসীদের

নুরুল ইসলাম ৪ বছর ধরে সৌদিতে। কখনো ছুটিতে আসতে পারেনি। মায়ের মৃত্যুর খবর ফোনে পেয়েছিল—তখন সে সিঁড়ি রং করছিলো এক আবাসিক ভবনের। মন কাঁপলেও মালিকের অনুমতি মেলেনি, ছুটিতে আসার। সে শুধু বলেছিল—“মা তো আর ফিরবে না, ঋণটা তো এখনো রয়ে গেছে…” আর তার চোখ দিয়ে তখন ঘামের সাথে গড়িয়ে পড়ছিল কষ্টের জল।

সৌদি প্রবাসীদের

---

সৌদি প্রবাসী খবর

নিউজপেপারে ছোট্ট করে ছাপা হয়—"সৌদিতে দুর্ঘটনায় এক বাংলাদেশি নিহত"। নাম ছিল হারুন। এক মাসের ছুটি নিয়ে ফিরতে চেয়েছিলো, কিন্তু হাউজিংয়ের কাজ করতে গিয়ে পড়ে যায় চারতলা থেকে। তার মা আজো জানে না—ছেলে আর ফিরবে না। শুধু রোজ ফজরের নামাজ শেষে বলে—"আজ কি রে হারুনের ফোন আসবে?"

---

সৌদি প্রবাসী নিউজ

স্থানীয় একটি আরবি পত্রিকায় রিপোর্ট হয়েছিল—"এক বাংলাদেশি কর্মচারী ১৯ ঘণ্টা কাজের চাপে জ্ঞান হারিয়ে হাসপাতালে"। তার নাম কেউ জানে না, পরিচয় শুধু "এক প্রবাসী"। তার নিজের পরিচয় হারিয়ে যায় শ্রমের ভিড়ে, অথচ বাংলাদেশে তার দুইটা মেয়ে অপেক্ষা করে, বাবার মুখ দেখবে বলে।

---

সৌদি প্রবাসীর বউ

মরিয়মের স্বামী সাত বছর ধরে সৌদি প্রবাসী। মাসে একবার টাকা আসে, কিন্তু ভালোবাসা আসে না। মোবাইল স্ক্রিনে ছবি দেখে চোখের পানি ঝরে। প্রতিবেশীরা বলে, “তোমার বর তো বড়লোক হইছে!”—কিন্তু মরিয়ম জানে, ওর সংসারটা আছে শুধু টাকায়, ভালোবাসাটা নীরবে মরেই গেছে।

---

সৌদি প্রবাসী

শহীদুল সকালে ঘুম ভাঙে কারখানার শব্দে, রাতে ঘুমায় ক্লান্ত শরীর নিয়ে। ছয়জন একরুমে গাদাগাদি করে থাকে। দেশের মানুষ ভাবে, সে বিদেশে খুব ভালো আছে। অথচ তার নিজের জন্য কোনো জামা নেই, ঈদে নিজের জন্য একটাও সেমাই কেনেনি—সব পাঠিয়ে দেয় মায়ের হাতে। মাকে বলে, “ভালো থাকিস, আমায় চিন্তা করিস না…” অথচ সেই রাতে শহীদুলের চোখে ঘুম আসে না।

---

সৌদি প্রবাসীর বেতন ২৫০০ রিয়াল

রিয়ালের হিসাব করে করে জীবন চলে সেলিমের। ২৫০০ রিয়াল থেকে কেটে যায় কোম্পানির থাকার খরচ, খাওয়া, ইন্টারনেট। দেশে পাঠায় ১০০০ রিয়াল—যেখানে স্ত্রীর ওষুধ, মেয়ের স্কুল ফি, বাবার ডাক্তারের ভিজিট—সব কিছু ঢুকাতে হয়। আর নিজে থাকে শুকনো রুটি আর নুন দিয়ে দিন পার করে। কেউ বুঝতে পারে না—এই "২৫০০ রিয়াল" মানে কী!