প্রেমের কবিতা
তুমি আর আমি—
একটা সন্ধ্যা আর এক কাপ চা,
হয়তো বসে থাকি পাশাপাশি,
কিন্তু আমাদের ভেতরে জন্মায় শব্দহীন কবিতা।
তুমি বলো না কিছু,
তবু চোখের পলকে আমি বুঝে যাই—
তোমার দিনটা কেমন গেল।
এটা কি প্রেম? নাকি তার চেয়েও কিছু বেশি?
প্রেম তো সেই,
যেখানে রাতের পর রাত জেগে
আমি তোমার ছোট ছোট ক্লান্তি গুনে ফেলি
আর তুমি কেবল আমার নিঃশব্দটুকু বুঝে যাও।
প্রেম মানে একসাথে হাঁটা নয়,
হয়তো দূরত্বে থেকেও একই আকাশের তারা দেখা,
তুমি যেখানে থাকো না—
তবুও তোমার ছায়া যেন রয়ে যায় আমার কাছে।
---
কবর কবিতা
নিঃশব্দ একখানা মাটি,
তার উপর শুকনো পাতা জমে আছে বছরের পর বছর।
এই কবর—কেবল দেহের ঘর নয়,
এটা এক সময়ের গল্প, ভালোবাসা আর অপেক্ষার ঠিকানা।
একটি মেয়ে আসে প্রতি শুক্রবারে,
হাতে একগুচ্ছ বেলি ফুল,
তাঁর চোখের জল মিশে যায় মাটির সাথে,
তবুও কবর নীরব—কোনো উত্তর নেই।
তবুও এক আশ্চর্য শান্তি,
এই মাটির নিচে কেউ চির ঘুমায়—
আর উপরে দাঁড়িয়ে কেউ চিরকাল জেগে থাকে,
ভালোবাসা আর বিরহ একসাথে ভাগ করে নেয়।
কবর মানে শুধু প্রস্থান নয়,
এ এক চিরন্তন সংযোগ,
যেখানে গল্প শেষ হয় না—
শুধু পৃষ্ঠার রঙ বদলে যায়।
---
নারী কবিতা
তোমরা বলো, সে কোমল—
কিন্তু তোমরা দেখোনি
ঘরের চার দেয়ালের মধ্যে সে কেমন কাণ্ডারী।
তোমরা বলো, সে সাজে—
কিন্তু জানো না, সে কিভাবে
নিজের ভাঙা স্বপ্নগুলো রঙে রঙে ঢেকে রাখে।
সে মায়ের মতো জাগে,
ভাগ করে নিজের রাত, নিদ্রা, সময়।
সে প্রেমিকার মতো অপেক্ষা করে,
আর স্ত্রী হয়ে নিজেকে হারিয়ে দেয় নিজের হাতে।
তবুও, কেউ জিজ্ঞেস করে না,
তারও কি ইচ্ছে ছিল কিছু হয়ে ওঠার?
সে কি চেয়েছিল কেবল সম্পর্কের ছায়া,
না নিজের আলাদা কোনো পরিচয়?
নারী—সে শুধুই পরিচয়ের তকমা নয়,
সে এক অসমাপ্ত মহাকাব্য,
যাকে প্রতিদিন আমরা লিখি, ভুল করি,
তবুও সম্পূর্ণ করে তুলতে পারি না।
---
কবিতা ক্যাপশন
১. “যে কথা কেউ শুনে না,
সেটাই কবিতার কণ্ঠস্বর।”
2. “কবিতা নয় কাগজে—
কবিতা জন্মায় তোমার চাহনিতে, ভোরের আলোয়।”
3. “হৃদয়ের শব্দরা কাগজে এসে দাঁড়ায়,
তবেই সে হয় কবিতা।”
4. “একটা নিঃশ্বাস, একটুখানি অভিমান—
এই নিয়েই তো লেখা হয় কবিতা।”
5. “তুমি যাকে বুঝো না,
সেই অনুভবটাই আমার কবিতা।”
---
বিদ্রোহী কবিতা
আমি সেই, যাকে তোমরা নিয়মের খাঁচায় আটকে রাখতে চাও—
কিন্তু আমি পাখি না, আমি ঝড়।
আমার ডানায় লেগে আছে বারুদের গন্ধ,
আমার চোখে স্পষ্ট বিপ্লবের আগুন।
তোমরা বলেছিলে, “চুপ থাকো”,
আমি লিখে ফেলেছি শত শত চিৎকার।
তোমরা বলেছিলে, “সহ্য করো”,
আমি বেছে নিয়েছি অগ্নিপথে হেঁটে চলা।
আমি কোনো পতাকার তলায় বাঁধা না,
আমার অস্তিত্বই এক বিকারহীন বিদ্রোহ।
আমি জন্মাই, আমি জ্বলি,
আমি নিজের ছায়া দিয়েই নতুন সূর্য বানাই।
আমার কবিতা শুধু কাগজে নয়—
আমার কবিতা রাস্তায়, গলিতে, চোখে,
যেখানে অন্যায় জমে,
সেখানেই আমি কলম হয়ে ফেটে পড়ি।
---
কবিতা (সাধারণ)
একদিন হঠাৎ করে
আমি ভাবলাম, একটা কবিতা লিখবো—
কিন্তু কাগজ খুঁজে পেলাম না।
তাই তোমার কণ্ঠস্বরেই লিখে ফেললাম।
সন্ধ্যার হাওয়া এসে বললো,
শব্দগুলো আজ একটু নরম করে দাও—
জীবন এমনিতেই অনেক কঠিন।
তাই আমি ছন্দে মিশিয়ে দিলাম তোমার নাম।
কবিতা কি কেবল ছন্দ আর তুকতাক?
না, কবিতা হলো সেই মুহূর্ত,
যেখানে আমি আর তুমি একসাথে নীরব থাকি—
আর তা থেকেই জন্ম নেয় এক অজানা অনুভব।
তোমার হঠাৎ চলে যাওয়া,
আমার কিছু না বলা,
আর একটা অপ্রকাশিত খামের ভিতর
জমে থাকা হৃদয়—
এই সবই তো একেকটি কবিতা।